সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
থমকে গেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যক্রম। সদ্য বিদায়ী সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান সহ অধিকাংশ জেলা বিএনপির নেতাই করোনায় খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। জেলা কমিটির কার্যক্রমে অতীতেও সন্তোষজনক ছিলো না দলটির তৃণমূল কর্মীদের নিকট। এনিয়ে দীর্ঘ সমালোচনা চললেও বর্তমানে কমিটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নেতাকর্মীরাও নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ ভালোভাবেই কাটাচ্ছেন। তবে এর মাঝে সোনারগাঁ বিএনপির এক নেতা জেলা কমিটির গুরুত্ব পূর্ন পদ পেতে যাচ্ছেন এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লেও অজানা কারনে সেটিও ধামাচাপা পরে যায়। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারনে কবে আসবে নতুন কমিটি তা বলতে পারছেন না দলের কোন নেতাই।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরবর্তী নতুন কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার অধীন সকল উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যক্রম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের পরামর্শে পরিচালিত হবে।
তবে বাস্তবতা হচ্ছে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদকের তেমন কোন কাজই লক্ষ করা যায়নি জেলা জুড়ে। ফেব্রুয়ারির পর থেকে জেলা ও জেলার অধীনের কোন কমিটি দলীয় কর্মসূচী পালন কিংবা কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি। ফলে জেলা কমিটির নির্দেশে যারা এতদিন উপজেলা গুলোতে কাজ করে আসছিলেন সেসবও বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে। কবে নাগাদ জেলা কমিটি গঠিত হবে তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
বিলুপ্ত জেলা বিএনপির এক কর্মী বলেন, নেতৃবৃন্দের উচিৎ পদ আর কমিটি বাণিজ্যের দিকে না তাকিয়ে দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে চলে আসা। বিশেষ করে জেলা কমিটির বাইরে যাতে অচল অবস্থা দীর্ঘায়িত না হয় সেদিকে লক্ষ রেখে দ্রুত কমিটির ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহন করা। এছাড়া অভ্যন্তরীন বিরোধের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়ে কমিটি তৈরী করে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। সেক্ষেত্রে মামলা বিতর্কের পাশাপাশি জেলা বিএনপি দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকা নেতাদের বাদ দিতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক মামুন মাহমুদ বলেন, মূলত করোনা ভাইরাসের কারনেই দলের কমিটি আটকে আছে। মাঝে কমিটি প্রনয়নের ব্যাপারে বেশ গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কবে নাগাদ কমিটি আসবে তা আমাদের কারোই জানা নেই। তবে দলীয় স্বার্থে দ্রুত কমিটই প্রনয়ন হওয়া প্রয়োজন।